২০ কিলোমিটার দীর্ঘ তুলসীগঙ্গা (পুরাতন) নদীর প্রথম ধাপে ১০ কিলোমিটারের খনন সম্পন্ন হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬ কিলোমিটার খননকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ কিলোমিটার খনন করেছে এবং উজানে প্রায় ২ কিলোমিটার অংশে ক্লোজার রয়েছে, যা মূল তুলসীগঙ্গা নদী থেকে পুরাতন তুলসীগঙ্গাকে পৃথক করেছে। নদীটি ভাটিতে ছোট যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং মিলনস্থলে একটি দুই ভেন্টের রেগুলেটর রয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, খননের ফলে নদীর দুই তীরের কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাবেন। নদীতে পানি থাকায় মৎস্য চাষেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই সাথে ভূগর্ভস্থ পানির প্রাপ্যতা বাড়বে, নদীকেন্দ্রিক বিনোদনকেন্দ্র সৃষ্টি হবে এবং পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
এক সময়ের খরস্রোতা তুলসীগঙ্গা নদীই রাণীনগর হয়ে নওগাঁ থেকে জয়পুরহাট যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল। বছরের পর বছর নদীটি খনন না করায় এবং অবৈধ দখল-দূষণের কারণে তুলসীগঙ্গা মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়। তুলসীগঙ্গার হারানো প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে খনন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের ৬৪টি জেলার ছোট নদী, খাল-বিল ও জলাশয় পুনঃখননের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তুলসীগঙ্গা নদীর ৬ কিলোমিটার পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।