প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, এমপি বলেছেন, মানুষের রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে যেমন মানুষের প্রাণ থাকে না, তেমনি নদীর প্রবাহ বন্ধ হলে বাংলাদেশেরও প্রাণ থাকবে না। কাজেই যারা নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের শত্রু। আমরা এই শত্রুদের চিহ্নিত করে নদীকে প্রবহমান করব।
১০ মার্চ দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রুজভেল্ট জেটি এবং বিআইডব্লিউটিএর জেটি পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, নদীর দুই পাশ দখলদারমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে বলেছেন। আমরা নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, নদী যাতে দূষণমুক্ত থাকে সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি।
নদী কেউ দখল করতে পারবে না জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৈরব অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি নদী। ব্যবসার অন্যতম একটি পথ, যা খুলনা থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত চলে গেছে। নদীর চ্যানেলগুলো ধরে রাখার জন্য ড্রেজার বেজ করছি, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। একইসাথে নদীর দুই পাশের দখলদারদের বিষয়ে স্টাডি চলছে। যেখানেই আমরা নদীর অবৈধ দখলদার পাব, সেখানেই তাদেরকে উচ্ছেদ করব।
তিনি আরও বলেন, এই খুলনা একটি মৃত শহরে পরিণত হয়েছিল। সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে শিপইয়ার্ড চালু করার পদক্ষেপ নেন। এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক ভাবেও খুলনা শিপইয়ার্ডের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খুলনায় আবার নতুন করে জাগরণ তৈরির জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
মোংলা বন্দর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে রিজিয়নাল কানেক্টিভিটি তৈরি হয়েছে। খুলনায় আবার নতুনভাবে জাগরণ তৈরি হবে। সেই জাগরণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ খুলনায় যে পরিবর্তন দেখছেন, সেটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। আর ১০ বছর পরে যে খুলনা দেখবেন, সেটি হবে একটি অসাধারণ নগরী।
তিনি বলেন, খুলনার পাশেই আমাদের সুন্দরবন। এই সুন্দরবনের দর্শনার্থীদের জন্য আমরা কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি করতে পারিনি। আমরা এখানে অনেক ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করছি, প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিদেশ থেকে গঙ্গা বিলাস এসেছে, বারবার আসবে। বিদেশিরা আসবেন, খানজাহান আলী এয়ারপোর্ট হবে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ অন্য কর্মকর্তারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।